নান্নু-বাশারদের পদ দখলে নিতে পারেন সাবেক দুই ক্রিকেটার!
নান্নু-বাশারদের পদ দখলে নিতে পারেন সাবেক দুই ক্রিকেটার!

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা নতুন কিছু নয়। প্রায় এক যুগ ধরে বোর্ডের নির্বাচক প্যানেলে আছেন তিনি। প্রায় প্রতিটি সিরিজেই কথা হয় তার সিলেকশন নিয়ে।
নান্নুর পদত্যাগের দাবি বেশ কয়েক বছর যাবত ঘুরছে-ফিরছে ক্রিকেট পাড়াতে। সময়ে সময়ে উঠে নানান গুঞ্জন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বহাল তবিয়তেই থেকে যান তিনি। তবে বর্তমান সময়টা তার জন্য সবচেয়ে খারাপ যাচ্ছে!
এশিয়া কাপে দলের ভরাডুবির পর চলমান বিশ্বকাপেও ব্যর্থ সাকিব আল হাসানের দল। যার বড় দায় পড়ছে নান্নুর কাঁধে। তাই জাতীয় দলের ভরাডুবির পর আরও একবার প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচক প্যানেল নিয়ে। নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপের দায় উঠেছে নান্নু-বাশারদের ঘাড়েও। আবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠেছে তাদের পদত্যাগ বা বহিষ্কারের দাবি। সমর্থকরা এই নির্বাচক জুটির কাছে থেকে চান মুক্তি।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় চাকরি হারাতে যাচ্ছেন নান্নু। প্রধান নির্বাচকের পাশাপাশি বরখাস্ত হতে পারেন হাবিবুল বাশার সুমনও। তবে স্বপদে বহাল থাকছেন তিন সদস্যের নির্বাচক প্যানেলের সবচেয়ে জুনিয়র আব্দুর রাজ্জাক রাজ। বাকি দুইজনের চাকরি গেলেও রাজ্জাকের ওপর আস্থা রাখছে বিসিবি। তাকে আরও সময় দিতে চায় বোর্ড।
যদিও চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে তাদের। জানা গেছে, নির্বাচক পদ থেকে সরিয়ে দিলেও বোর্ডের সঙ্গে রাখা হবে নান্নু-বাশারকে। সাবেক এই ক্রিকেটারকে দেওয়া হতে পারে ভিন্ন কোনো দায়িত্ব। আর বাশারের জায়গা হতে পারে ‘এ’ দলে।
এদিকে ক্রিকেটপাড়ায় খবর, নান্নু-বাশারদের রেখে যাওয়া পদ দখলে নিতে পারেন সাবেক দুই ক্রিকেটার হান্নান সরকার ও হাসিবুল হোসেন শান্ত। দুজনই বর্তমানে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচকের দায়িত্বে আছেন। বয়সভিত্তিক দলে কাজ করে বিসিবির আস্থা অর্জন করায় এবার জাতীয় দলের জন্যেও আলোচনায় তারা।
তবে এর বাহিরেও আছে আলোচনা। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুলও দায়িত্ব নিতে চান নির্বাচক প্যানেলের। বেশ কয়েকবারই গণমাধ্যমে এই দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। তাছাড়া জাভেদ ওমর, তুষার ইমরানরাও আছেন আলোচনায়।
পুনেতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আশরাফুল বলেন, একটা মানুষ ১২ বছর ধরে আছেন, একই চিন্তা হবে। এটা (প্রধান নির্বাচক) লম্বা সময় থাকার পজিশন না। বেশি হলে তিন-চার বছর হতে পারে। তাহলে এতগুলো কোচ কেন আমরা বদল করলাম।
আশরাফুল যোগ করেন, যেহেতু ২৬ থেকে ২৭ বছর ধরে খেলছি। আমার ইচ্ছাও ক্রিকেটের সঙ্গে থাকা। এই ধরণের সুযোগ এলে অবশ্যই আমি চিন্তা করব।
অন্যদিকে হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি। তার দাবি, এখনও বোর্ড থেকে অফিসিয়ালি তাকে কিছু বলা হয়নি। এ ছাড়া হান্নানের মতো একই কথা জানালেন শান্ত। এখনও বিসিবি থেকে কোনো প্রস্তাব পাননি তিনিও।