
পুনেতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুই করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মিলে ১৫তম ওভারে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৯৩ রান। এরপর ৫১ করা তানজিদ তামিম আউট হয়ে ফিরে যান। পরে ৬৬ রান করে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফেরেন লিটন দাসও। এরপর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাঝারি ইনিংস খেললেও লড়াইয়ের পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ।
যে কারণে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও ঘুরেফিরে ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গই এসেছে শান্তর কণ্ঠে। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিমের ইনিংস আরও লম্বা হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন তিনি। অন্তত তাদের মধ্যে একজন শতক হাঁকালে বড় স্কোর গড়া যেন বলেও মনে করছেন তিনি।
শান্ত বলেন, ‘আমরা যে জায়গায় খুব ভুগছিলাম, সেই টপ অর্ডারে আজ ভালো হয়েছে। ওপেনাররা ভালো করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, দুজন ব্যাটসম্যান থিতু ছিল… তাদের ইনিংস আরও লম্বা করা উচিত ছিল। উইকেট এমন ছিল, এক-দুইজন ব্যাটসম্যান যদি ১২০-১৩০ রানের ইনিংস খেলত, তাহলে শেষের দিকের ব্যাটসম্যানের জন্য কাজটা আরও সহজ হতো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে কোনো ব্যাটারই ৫০-৭০ বা একশোতে খুশি না যদি না দলের সাহায্য হয়। আমি নিশ্চিত তানজিদ বা লিটন কেউই খুশি না তাদের ইনিংস নিয়ে। প্রতিটা ব্যাটারেরই দায়িত্ব রান করা। আমি যে জায়গায় ব্যাট করি সেখানে রান করা একটা দায়িত্ব।’
বোলারদের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে এই বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘বোলারদের খুব একটা দোষ দেখি না। আমি মনে করি বোলাররা যথেষ্ট ভালো বোলিং করছে। আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি আরেকটু রান বোর্ডে দিতে পারতাম, তাহলে আরেকটু সহজ হতো।’
এখনো বাংলাদেশ দল সেরাটা খেলতে পারেনি বলে মনে করেন শান্ত, ‘তিনটি দলই খুবই ভালো। তবে আমার মনে হয় এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। আশা করি সামনে সেটা করতে পারব।’
বিশ্বকাপে আরও পাঁচ ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে টাইগারদের। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ আগামী ২৪ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।