Uncategorized

ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর যে কারণে জরিমানাও ‍গুনল বাংলাদেশ

ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর যে কারণে জরিমানাও ‍গুনল বাংলাদেশ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এমন লজ্জাজনক হারের পর জরিমানাও গুনতে হয়েছে টাইগারদের। স্লো ওভার রেটের কারণে ম্যাচ ফির ৫ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়েছে সাকিব বাহিনীকে।

নির্ধারিত সময়ে বোলিং ইনিংস শেষ করতে না পারায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বাংলাদেশকে জরিমানা করে। সেই সিদ্ধান্ত সাকিব মেনে নেন। ফলে আর কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

ধর্মশালা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায়। ইংলিশরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান করে। জবাবে ৪৮.২ ওভারে ২২৭ রান তুলতেই শেষ হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস। তাতে ১৩৭ রানে জয় পায় ইংল্যান্ড।

ম্যাচটিতে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন ইংলিশ দুই ওপেনার মালান এবং বেয়ারস্টো। এই দুইজনের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১১৫ রান। এরপরে বেয়ারস্টো আউট হলেও দমে যায়নি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। রুটকে নিয়ে বড় এক জুটি গড়েন মালান।

শরিফুল, সাকিব, মুস্তাফিজদের তুলোধুনো করে মালান তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক তুলে নেন। এরপরও এগিয়ে যাচ্ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে শেষ পর্যন্ত শেখ মেহেদীর বলে বোল্ড হয়ে ১৪০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মালান। মালান, বেয়ারস্টো ছাড়াও ফিফটির দেখা পেয়েছেন জো রুট। ৬৮ বলে ৮ চার এবং এক ছক্কার মারে ৮২ রান করেছেন রুট।

৩৬৫ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে লিটন দাস ভালো শুরু এনে দেন। কিন্তু পরের ওভারেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। রিস টপলির বল ঠিকমতো ব্যাটে নিতে না পারায় স্লিপে ক্যাচ উঠে যায় এবং সেই সুযোগ লুফে নেন জনি রেয়ারেস্টো।

তামিম আউট হওয়ার পরের বলেই পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এদিন রানের খাতা খুলতেই পারেননি তিনি। দ্বিতীয় ওভারে টানা দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপরে উইকেটে এসে টপলিকে হ্যাটট্রিকের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেন টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। কিন্তু তিনিও ১ রানের বেশি করতে পারেননি। টপলির করা ৫.৪ ওভারে সাকিব ফিরেছেন সরাসরি বোল্ড হয়ে।

বাংলাদেশি ৩ ব্যাটারকে টপলি তুলে নেয়ার পরে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ওকস। তিনি ফেরান মিরাজকে। ৭ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরে লিটনকে সঙ্গ দিতে উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। লিটন-মুশফিক ৭৫ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন। এরপরে ক্রিস ওকসের অফ কাটারের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন। তিনি ৬৬ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

তখনও বাংলাদেশের জয়ের আশা ছিল। কিন্তু দলীয় ১৬৪ রানে মুশফিক আউট হলে সে আশা ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে। বাংলাদেশি উইকেটরক্ষক ফিরেছেন টপলির বলেই। ডিপ থার্ডে থাকা আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৬৪ বলে ৫১ রান করেছেন তিনি। মুশফিকের পরে তাওহীদ হৃদয় (৬১ বলে ৩৯ রান) ও শেখ মেহেদী (৩২ বলে ১৪ রান) আউট হলে জয়ের সম্ভাবনা প্রায়ই কমে আসে। শেষ দিকে তাসকিন (২৫ বলে ১৫ রান), শরিফুল (১৪ বলে ১২ রান) এবং মুস্তাফিজ (৯ বলে অপরাজিত ৩ রান) প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও কাজের কাজ হয়নি। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২২৭ রানে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button